বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তাঁর পাশে থেকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা লেখাপড়ার তেমন সুযোগ না পেলেও চিন্তা ভাবনায় তিনি উচ্চমানের ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমার মা খুব জ্ঞান পিপাসু ছিলেন। তার খুব বই পড়ার অভ্যাস ছিল। আব্বার জন্য বই কিনতেন।'
তিনি বলেন, 'আমার মা কখনই নাই শব্দটা বলতেন না। মায়ের মুখে কোনো সময় অভাব অনটনের কথা শুনতাম না। আমাদের কঠোর নির্দেশ দিতেন, ঘরে কোনো জিনিস না থাকলে নাই বলা যাবে না। ঘরে চিনি না থাকলে বলতেন, ফুরিয়ে গেছে, আনতে হবে। তিনি কখনই দৈন্য, অভাব-অনটন প্রকাশ করতেন না। কখনও হতাশা ছিল না তার মধ্যে।'
শেখ ফজিলাতুন্নেছা অনেক উদারমনা ছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'গরীবদের বা দলের নেতাকর্মীদের সাহায্য করতে তিনি গহনা বিক্রি করে দিয়েছেন। বলতেন ডিজাইন পুরনো হয়ে গেছে তাই বিক্রি করে দিয়েছি, পরে নতুন বানাব। ঠাণ্ডা পানি খেলে গলা ব্যথা হয় এটা বলে ফ্রিজ বিক্রি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বড় মেয়ে, সব বুঝতাম।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'মা রাজনৈতিকভাবেও ছিলেন দৃঢ়চেতা। রাজনীতিতে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ গুণটিও তাঁর মধ্যে ছিলো।'
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে জাতির পিতা হত্যাকারীদের নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে তিনিও শাহাদাত বরণ করেন।