গেল অর্থবছরে ৬শ' কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতির লক্ষ্যের বিপরীতে অর্জন হয়েছে সাড়ে ১৪শ' কোটি মার্কিন ডলার। আর সবশেষ হিসেব অনুযায়ি, অর্থছাড় হয়েছে ৬শ ১২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বড় বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। বড় অংকের এই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫৪ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বলছে, বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ সংগ্রহে সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, 'গেলবছর আমাদের লক্ষ্য ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার, আমাদের অর্জিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি। গেল বছরে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে। এ বছরও আমরা প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার অর্জনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।'
উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে গতিশীল রাখতে বৈদেশিক ঋণের পাইপলাইনেও যথেষ্ট অর্থ রয়েছে। অর্থছাড় নয় বরং প্রকল্প বাস্তবায়ন জটিলতার কারণেই আটকে যায় বৈদেশিক ঋণের অর্থ। বড় অংকের এ অর্থকে টেকসই উন্নয়নে কাজে লাগাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেয়ার তাগিদ দিলেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জানান, আমাদের পাইপলাইনে যথেষ্ট টাকা রয়েছে। আমাদের টাকাটা ছাড় পাবে, যদি যে প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে সে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলেই অর্থায়ন হচ্ছে না।
উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিললে ২০২৭ সালের পর বৈদেশিক ঋণে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিলেও সে সময় ঋণের শর্ত বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।