২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। যা আগের চেয়ে ৬৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বেশি। শতাংশের হিসাবে ২৪ শতাংশ বেশি। নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এরপরও বাজেটে ঘাটতি থাকবে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যা অভ্যন্তরীণ ঋণ, বিদেশি সহায়তা থেকে মেটানো হবে।
প্রত্যাশা ছিল, মুল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের করমুক্ত আয়সীমা বাড়বে প্রস্তাবিত বাজেটে। কিন্তু পুরণ হয়নি এই আশা। তবে, ক্রমাগত বাড়তে থাকা ধনী গরীবের বৈষম্য বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে কর আদায়ে খানিকটা কৌশলী হয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
নিজের নামে দুটি গাড়ি, ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অথবা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের বাড়ি থাকলেই বছরে দিতে হবে নুন্যতম ৩ হাজার টাকার কর। সম্পদ ১০ কোটির বেশি হলে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। বহাল থাকছে আয়করের উপর সারচার্জ পদ্ধতিও।
৫ শতাংশ কর বসছে ভার্চুয়াল বিজনেসে। এই ব্যবসার অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবকেও করের আওতায় আনতে আইন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। ৯ স্তরের ভ্যাট থেকে সরে এসে প্রস্তাব করা হয়েছে ৫ স্তরের ভ্যাট। তাই বাধ্যতামুলক হচ্ছে অনলাইন রির্টাণ। হোটেল রিসোট সহ বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসবে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস।
সম্পুরক শুল্ক বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটেও। তবে তামাকের রপ্তানি বাড়াতে তামাক পণ্যের ২৫ শুল্ক প্রত্যাহার হয়েছে। কর বসছে আমদানি করা চকলেট, চুইংগাম মধু এবং সবুজ চা ও বাদামে।
এ ছাড়াও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়িয়ে কর আহরণ বাড়াতে দেশে তৈরি মোবাইল ফোন, মটর সাইকেলেও বাইসাইকেল উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে ৩০ জুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।