আন্তর্জাতিক

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তদন্ত, পদত্যাগ করছেন না স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪৫:৩১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা করেছেন যে, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করবেন না। তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি দুর্নীতি মামলার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হওয়ার পর গত সপ্তাহে দাপ্তরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক বিরতি নেন পেদ্রো সানচেজ।

সোমবার (২৯  এপ্রিল) রাজা ষষ্ঠ ফিলিপের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সরকারি দায়িত্ব পালন না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এরপর তিনি জানান, আরও গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ তিনি। বিবিসির তথ্য

 

গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীকে তার পদে বহাল থাকার আহ্বান জানিয়ে স্পেনের বেশ কয়েকটি স্থানে একাধিক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে মাদ্রিদে সোশ্যালিস্ট পার্টির (পিএসওই) সদর দপ্তরের জড়ো হয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

 

এর আগে গত বুধবার পেদ্রো সানচেজ বলেছিলেন যে, তার স্ত্রী বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য নয়। 

 

নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার বিরতি দরকার। চিন্তা করা দরকার। জরুরি ভিত্তিতে আমার এ প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার যে, আমার সরকারে নেতৃত্ব দেওয়া চালিয়ে যাওয়া উচিত, নাকি সরে যাওয়া দরকার। সমাজের সকল স্তরের মানুষের থেকে পাওয়া অভিব্যক্তি অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' 

 

২০১৮ সাল থেকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে আছেন সানচেজ। তার স্ত্রী বেগোনা গোমেজ সরকারি কোনো দায়িত্বে নিযুক্ত নন। স্পেনে আইনি লড়াই চালানোর প্ল্যাটফর্ম মানস লিমপিয়াস (ক্লিন হ্যান্ড) অভিযোগ তুলেছে যে, ব্যবসায়িক চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রোর স্ত্রী।

 

মানস লিমপিয়াসের নেতার নাম মিগুয়েল বার্নার্ড রেমন। স্পেনে তিনি ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত। মাদ্রিদের একটি আদালত এ প্ল্যাটফর্মের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 

কিন্তু বৃহস্পতিবার মাদ্রিদের সরকারি কৌঁসুলি উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তদন্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। মানস লিমপিয়াসও স্বীকার করে যে, অভিযোগগুলো ভুল হতে পারে কারণ সেগুলো অনলাইন সংবাদপত্রের ওপর ভিত্তি করে ছিল। যার মধ্যে একটি ইতিমধ্যেই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

 

ডিবিসি/ এসএইচ 

আরও পড়ুন